কক্সবাজারের টেকনাফের সেই পাহাড়ি আস্তানা থেকে অপহরণের শিকার আরও পাঁচ যুবককে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দফতরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার গহিন পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সিয়াম-উল-হক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন বাংলাদেশি এবং দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক। সংঘবদ্ধ একটি অপহরণ চক্রের সহায়তায় পাচারকারীরা তাদের গহিন পাহাড়ের ভেতরে একটি আস্তানায় জড়ো করেছিল। তাদের মধ্যে কাউকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন, আবার কাউকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়। কচ্ছপিয়ার পাহাড়ের আস্তানায় জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলছিল। গোপনে খবর পেয়ে ওই আস্তানায় কোস্টগার্ড অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারী দলের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেলেও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া এলাকার একই পাহাড়ের আস্তানায় যৌথ অভিযান চালায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। ওই দিন মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৪৪ জনই নারী-শিশু। ৬৬ জনের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক, বাকিরা বাংলাদেশি।
গত রবিবার রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কচ্ছপিয়ার ওই পাহাড়ের আস্তানায় যৌথ অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ৮৩ জনকে উদ্ধার করে র্যাব-বিজিবি। উদ্ধারকৃতদের সাগরপথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাচারের জন্য আস্তানাটিতে জড়ো করা হয়েছিল। পাশাপাশি অস্ত্র-গুলিসহ তিন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে তিন দফায় অভিযানে ১৫৫ জনকে উদ্ধার করা হলো।